নিদ্রা, চিরন্তর মোহনিদ্রা
নিদ্রা, চিরন্তর মোহনিদ্রা; ঢোলের ভিড়ে, বংশীর সপ্তকে, সেতারের বিদ্যুতে এ তো বধিরের অনাবদ্ধ এক প্রপঁচিত শয়ন। জলের মাঝে, জলের ভেলায়, জলসিক্ত স্থির ভাসমান সে দ্বৈতের দিব্যি এ কেমন অচেতনতা!? ছায়াবৃক্ষে অবলীলায় ডুবন্ত পাগুলো শ্বসনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে; ওদিকে নাকগুলো ভুলে গিয়েছে তাদের চিরায়ত কার্যক্রম; মস্তিষ্কের ই.ই.জি’তে কোন স্পাইক নেই- স্থির এক নিষ্কর্ম মস্তিষ্ক। হস্তদ্বয় করে প্রেমালাপ। জোনাকিতে ছেয়ে গেছে প্রান্তর এবং মানব প্রেমের গভীরতা দেখে তারা হতবম্ভ। সৌরদীপ্তি যাদের নিরব প্রেমালাপে এতটুকু চিড় ধরাতে পারে না। বহু সূর্য আসে আর যায়, চন্দ্রের আকৃতিরও বহু পরিবর্তন সম্পন্ন হয়, কিন্তু কেন এত গভীর মানব প্রেম!? কিছুতেই যেন এর ঘোর কাটছে না। আকাশের তারাগুলো ঢেউয়ের উপর দোল খায়, কত তারা ঢেউয়ে হারিয়ে যায়, কত ঢেউ ঢেউয়ে আঁচড়ে পরে তার হিসাব জানা নাই। পাগুলো ছায়াবৃক্ষ ভেদ করে জল থেকে নিঃশ্বাস নেয়; নাক শ্বসন থেকে মুক্ত নিরব এক দর্শক; মস্তিষ্কে বিদ্যুৎ বিভ্রাট পুরো দমে বর্তমান। হস্তে হস্তে চলে প্রেমালাপ, অতীন্দ্রিয় প্রেমালাপ।
No comments